বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ভয়ংকর ভাইরাস মাঙ্কিপক্স | Monekeypox Virus

গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে বহু দিন কম্পিউটারের মাউস, কিবোর্ড, কফি মেশিন, ইত্যাদিতে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস লেগে থাকতে পারে। আর এর থেকেই ছড়াতে পারে রোগটি।

আসবাবের উপর কত দিন পর্যন্ত থাকতে পারে মাঙ্কিপক্সের জীবাণু?

ইউএস ডিজিজ কন্ট্রোল বডি সিডিসি দ্বারা মাঙ্কিপক্সের উপর একটি নতুন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা সত্ত্বেও ভাইরাসটি অনেক সাধারণ জিনিসের উপর বেশ কয়েক দিন টিকে থাকতে পারে।

এই গবেষণার জন্য, দুটি মাঙ্কিপক্স রোগীর জন্য একটি বাড়ি নেওয়া হয়েছিল, বাড়িটায় দুটো ভাগ করা ছিল। রোগীরা নিয়মিত জিনিসগুলো জীবাণুমুক্ত করতেন, দিনে কয়েকবার তাদের হাত ধুয়ে এবং বারবার স্নানও করতেন। তা সত্ত্বেও, গবেষকরা তাদের উপসর্গ শুরু হওয়ার ২০ দিন পরে ৭০ শতাংশ বারবার ছোঁয়া হয়েছে এমন জায়গায় ভাইরাসটি খুঁজে পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে খাট, কম্বল, কফি মেশিন, কম্পিউটার মাউস এবং আলোর সুইচ।

কোনও জিনিসের উপর লেগে থাকা ভাইরাস থেকে কি আপনি সংক্রমিত হতে পারেন?

গবেষণার সময় সমস্ত জিনিসের উপর লেগে থাকা যে ভাইরাসগুলো পাওয়া গিয়েছিল সেগুলো মৃত ছিল, যার দ্বারা সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি ভীষণই কম।

গবেষণার পর, ইউএস ডিজিজ কন্ট্রোল বডি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে যাঁরা যান, তাঁদের নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। এই সংস্থার তরফে বলা হয়েছে যাঁরা সংক্রমিত রোগীর বাড়ি যাবেন তাঁরা যেন একটি ভাল ফিটিংওয়ালা মাস্ক পরে যান, যে জিনিসগুলো সংক্রমিত হতে পারে সেই জিনিসগুলো যেন না ধরেন এবং একই সঙ্গে তাঁদের বারবার হাত ধুতে হবে।

মাঙ্কিপক্স হয়েছে এমন ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখলে তাঁর থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই রোগটি মুখের আলসার, ক্ষত বা ঘায়ের মাধ্যমে, এমনকী শ্বাসযন্ত্রের মধ্যে দিয়েও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগে স্পষ্ট করেছিল যে 'দূষিত পরিবেশ' থেকেও সংক্রামিত হওয়া সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে যখন কোনও সুস্থ ব্যক্তি কোনও সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত পোশাক, বিছানা, তোয়ালে, ইত্যাদি স্পর্শ করেন তখন তার থেকেও রোগ ছড়াতে পারে।

কারা আক্রান্ত হচ্ছেন মাঙ্কিপক্সে?

আফ্রিকায় যদিও আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ বছরের কমবয়সি শিশুদের সংখ্যাই বেশি, কিন্তু যে কোনও বয়সের ব্যক্তিই এই অসুখে আক্রান্ত হতে পারেন। আফ্রিকার বাইরে সমকামী পুরুষদের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি বলে দেখা যাচ্ছে। তবে, এই বর্গের বাইরে থাকা বহু মানুষও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন।

মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কী?

মাঙ্কিপক্সের ক্ষেত্রে ইনকিউবেশন পিরিয়ড, অর্থাৎ সংক্রমিত হওয়া থেকে উপসর্গগুলি টের পাওয়া অবধি মোটামুটি ৬ থেকে ১৩ দিন সময় লাগে। তবে অনেক ক্ষেত্রে ৫ থেকে ২১ দিন সময়ও লাগতে পারে। 

সংক্রমণ শুরু হয় যে সব উপসর্গ দিয়েঃ

১। মাথাব্যথা

২। জ্বর

৩। পিঠে ব্যাথা

৪। পেশিতে ব্যথা

৫। কাঁপুনি

৬। ক্লান্তি

৭। লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া

এই রোগটিকে দু’টি সময় পর্বে ভাগ করা যায়ঃ

১। সংক্রমণ পর্ব, যা ০-৫ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময় তীব্র মাথায় যন্ত্রনা, জ্বর, পিঠে ব্যথা, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া (লিম্ফাডেনোপ্যাথি), পেশিতে ব্যথা  (মায়ালজা), শরীরে শক্তির অভাবের (ইনটেন্স অ্যাস্থেনিয়া) মতো উপসর্গ দেখা যায়। গুটিবসন্ত, জলবসন্ত বা হামের মতো অসুখের সঙ্গে মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক উপসর্গগুলির মিল রয়েছে, তবে একমাত্র এই সংক্রমণের ক্ষেত্রেই লিম্ফাডেনোপ্যাথি দেখা যায়।

২। সাধারণত জ্বর আসার এক থেকে তিন দিনের মধ্যে ত্বকে গুটি দেখা দিতে থাকে। সাধারণত মুখেই বেশি গুটি বেরোয়। নাকের উপরের অংশের চেয়ে মুখের চারপাশের অংশে বেশি গুটি বেরোতে দেখা যায়। ৭৫% ক্ষেত্রে হাতের তালু এবং পায়ের পাতায় গুটি বেরোয়, আর ৯৫% ক্ষেত্রে মুখে গুটি বেরোয়।  ৭০% ক্ষেত্রে মুখের মিউকাস মেম্ব্রেনে, ৩০% ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গে, এবং ২০% ক্ষেত্রে কর্নিয়া সমেত চোখে গুটি বেরোতে দেখা যায়। ছড়ানোর প্রথম পর্যায়ে গুটিগুলি প্রথমে সমতল ফোস্কার অবস্থায় থাকে (ম্যাকিউল), তার পরে ধীরে ধীরে স্ফীত হয় (প্যাপিউল), পরের ধাপে তার মধ্যে স্বচ্ছ জলীয় পদার্থ ভরে ওঠে (ভেসিকল), তার পর সেই ফোস্কার মধ্যে হলুদ রঙের জলীয় পদার্থ জমা হয় (পস্টিউল)। তার পরে উপরের অংশটি খোসার মতো শুকিয়ে যায়, এবং খসে পড়ে।  আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে অল্প কয়েকটি ফোস্কাও বেরোতে পারে, আবার হাজার হাজার ফোস্কাও বেরোতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, যত ক্ষণ না ত্বকের বড় অংশ খসে পড়ছে, তত ক্ষণ অবধি সেই জায়গায় ফোস্কা জমতেই থাকে।

মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয়, এবং তার পর নিজে থেকেই সেরে যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে রোগটির জটিল আকার ধারণ করার সম্ভাবনা বেশি। রোগীর শারীরিক অবস্থা কেমন, কী ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, কতখানি ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে, তার উপর রোগের তীব্রতা নির্ভর করে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি থাকলে মাঙ্কিপক্স সংক্রণ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।

আগে স্মলপক্সের টিকা দেওয়া হত বলে মাঙ্কিপক্সের থেকেও সুরক্ষা পাওয়া যেত। কিন্তু, স্মলপক্স নির্মূল হওয়ায় গোটা পৃথিবীতেই গত পঞ্চাশ থেকে চল্লিশ বছর আগে এই রোগের টিকা দেওয়া ক্রমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে, এখন যাঁদের বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের কম, তাঁদের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি হতে পারে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণে মৃত্যুর হার ০ থেকে ১১%, শিশুদের ক্ষেত্রে এই হার তুলনায় বেশি। তবে ইদানীং কালে এই সংক্রমণে মৃত্যুর হার ৩ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে থাকতে দেখা গেছে।

মাঙ্কিপক্সের ক্ষেত্রে কী ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে?

মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ থেকে সেকন্ডারি ইনফেকশন, সেপসিস, ব্রঙ্কোনিউমনিয়া, এনকেফেলাইটিস এবং কর্নিয়ার সংক্রমণ হতে পারে, যা থেকে রোগী দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন।

যদি গর্ভাবস্থায় মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ ঘটে, তবে শিশুর শরীরে জন্মগত অসুস্থতা থাকতে পারে, এমনকি গর্ভাবস্থায় শিশুটির মৃত্যুও হতে পারে। শৈশবে যাঁদের স্মলপক্সের টিকা নেওয়া আছে, তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের উপসর্গগুলি তুলনায় মৃদু হতে পারে।

তবে মনে রাখা দরকার, মাঙ্কিপক্স বা স্মলপক্স কোনও টিকাই গর্ভাবস্থায় নেওয়া অনুমোদিত নয়।

চিকিৎসকরা কী ভাবে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত করেন?

যেহেতু মাঙ্কিপক্স একটি বিরল অসুখ, ফলে আপনার চিকিৎসক প্রথমে একে স্মলপক্স, চিকেনপক্স বা হামের মতো অন্য কোনও র‍্যাশ ভেবে ভুল করতে পারেন। তবে ফুলে যাওয়া লিম্ফ নোড (লিম্ফাডেনোপ্যাথি) উপসর্গ দিয়ে অন্য পক্স থেকে মাঙ্কিপক্সকে আলাদা করা যায়।

মাঙ্কিপক্স কি না, তা বোঝার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত ব্যক্তির দেহের ফেটে যাওয়া ফোস্কা থেকে টিস্যুর নমুনা সংগ্রহ করেন, এবং সেটিকে নিরাপদ ভাবে (জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিধি মেনে) নির্দিষ্ট পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে দেন। পলিমারেজ চেন রিঅ্যাকশন-এর (পিসিআর) সংবেদনশীলতা এবং কার্যকারিতার জন্য এই টেস্টটিকে মাঙ্কিপক্স চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য বলে গণ্য করা হয়। তার পর মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের মাত্রা বা আক্রান্তের দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা কতটা অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পেরেছে, তা জানার জন্য আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হতে পারে।

মাঙ্কিপক্স কি নিরাময়যোগ্য?

সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গগুলি  নিজে থেকেই সেরে যায়।  মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত অনেকেরই চিকিৎসার দরকার হয় না, এবং তাঁরা নিজে থেকেই সেরে ওঠেন। রোগটি ধরা পড়লে চিকিৎসকরা রোগীর পরিস্থিতির দিকে লক্ষ রাখেন, রোগীর শরীরে যাতে জনশূন্যতা দেখা না দেয়, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন, রোগের উপসর্গগুলিকে কমাতে চেষ্টা করেন, এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হলে তা আটকাতে অ্যান্টিবায়োটিক দেন।

মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসা কী?

এই মুহূর্তে মাঙ্কিপক্সের কোনও নির্দিষ্ট প্রামাণ্য চিকিৎসা নেই। অ্যান্টিভাইরাল ওষুধে কাজ হতে পারে, কিন্তু মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসাপদ্ধতি হিসাবে তা নিয়ে এখনও কোনও গবেষণা হয়নি।

তবে যেহেতু মাঙ্কিপক্স এবং স্মলপক্স ভাইরাস  জিনগত ভাবে তুলনীয়, তাই স্মলপক্স সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য যে সব  অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ বা টিকা ব্যবহার করা হয়, তা মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

যে সব রোগীর গুরুতর ভাবে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা আছে, যেমন যাঁদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দু্র্বল, তাঁদের টেকোভিরিম্যাট-এর (TPOXX) মতো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ  দেওয়া যেতে পারে।

আপনার শরীরে যদি মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দেখা দেয়, তা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনি কোনও মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন কি না, সে কথা বিবেচনা করার প্রয়োজন নেই।

কী ভাবে মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধ করা যায়?

কী কী কারণে কেউ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হতে পারেন, সে বিষয়ে সচেতনা বৃদ্ধি এবং এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে কী করা উচিত, সে বিষয়ে মানুষকে অবহিত করে তোলাই মাঙ্কিপক্স ঠেকানোর সবচেয়ে বড় রণকৌশল। এই রোগ প্রতিরোধে এবং নিয়ন্ত্রণে টিকা কার্যকর হতে পারে কি না, এবং সেই টিকাকরণ আদৌ সম্ভব কি না, সে বিষয়ে এখন গবেষণা চলছে।

আক্রান্ত পশু থেকে মানুষে সংক্রমণ কমানো, এবং মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের সম্ভাবনাকে সীমাবদ্ধ করা যাচ্ছে কি না, তার উপরই মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধ করার সাফল্য নির্ভর করছে। এই রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর সেরা পন্থা হলঃ

১। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো

২। রোগের প্রাদুর্ভাবের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নতুন সংক্রমণের উপর নজরদারি, এবং দ্রুত শনাক্তকরণ করা জরুরি। যখন মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ চলছে, তখন আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক নৈকট্য পরিহার করুন।

৩। আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের, এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বাড়ির কোনও সদস্য আক্রান্ত হলে পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে পৃথক ভাবে তাঁর জন্য নিভৃতবাসের ব্যবস্থা করুন। নয়তো অন্যদের ঝুঁকি বাড়বে।

৪। যে স্বাস্থ্যকর্মীরা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত বা সম্ভাব্য-আক্রান্তদের সেবা করছেন, বা তাঁদের শারীরিক নমুনা সংগ্রহ করছেন, তাঁদের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের প্রামাণ্য নিয়মবিধি মেনে চলা উচিত। যদি সম্ভব হয়, তা হলে মাঙ্কিপক্স রোগীদের সেবা করার জন্য এমন স্বাস্থ্যকর্মীদেরই নিয়োগ করা উচিত, যাঁদের আগেই স্মলপক্সের টিকা নেওয়া রয়েছে।

পশু থেকে মানুষে (জুনোটিক) সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো

দেখা গিয়েছে যে, মানুষের শরীরে যে সংক্রমণগুলি ঘটে, তার অধিকাংশই প্রাথমিক ভাবে ছড়িয়েছিল পশু থেকে মানবদেহে। কোনও রকম নিরাপত্তা ছাড়াই বন্য জন্তুর সংস্পর্শে আসা, বিশেষত অসুস্থ বা মৃত জন্তুর সংস্পর্শে আসা, তাদের রক্ত, মাংস বা শরীরের অন্য কোনও অংশের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাই বিধেয়। এ ছাড়াও, কোনও প্রাণীর মাংস বা শরীরের অংশ রয়েছে, এমন কোনও খাবার খেলে তা খুব ভাল ভাবে রান্না করে নেওয়া উচিত।

Next Post Previous Post