কাযা নামাজ আদায়ের নিয়ম
কাযা নামাজ দ্রুত ও ধারাবাহিকভাবে একামত সহ আদায় করা বাঞ্ছনীয়। (০১) খন্দকের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও ছাহাবীগণ মাগরিবের পরে যোহর থেকে এশা পর্যন্ত চার ওয়াক্তের কাযা নামাজ এক আযান ও চারটি পৃথক একামত পরপর জামাআত সহকারে আদায় করেন। (০২) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, مَنْ نَسِىَ صَلاَةً أَوْ نَامَ عَنْهَا فَكَفَّارَتُهَا أَنْ يُّصَلِّيَهَا إِذَا ذَكَرَهَا কেউ ভুলে গেলে অথবা ঘুমিয়ে গেলে তার কাফফারা হলো ঘুম ভাঙলে অথবা স্মরণে আসার সাথে সাথে কাযা নামাজ আদায় করা। (০৩)
“উমরী কাযা” অর্থাৎ বিগত বা অতীত জীবনের কাযা নামাজ সমূহ বর্তমানে নিয়মিত ফরয ছালাতের সাথে যুক্ত করে কাযা নামাজ হিসাবে আদায় করা সম্পূর্ণরূপে একটি বিদাআতী প্রথা। (০৪) কেননা ইসলাম তার পূর্বেকার সবকিছুকে ধ্বসিয়ে দেয় (০৫) এবং খালেছভাবে তওবা করলে আল্লাহ তাঁর বান্দার বিগত সকল গোনাহ মাফ করে দেন। (০৬) অতএব এমতাবস্থায় উচিৎ হবে, বেশী বেশী নফল ইবাদত করা। কেননা ফরয ইবাদতের ঘাটতি হলে ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহর হুকুমে নফল ইবাদতের নেকী দ্বারা তা পূর্ণ করা হবে। (০৭)
(০১) মুসলিম হা/১৫৬০/৬৮০ “মসজিদসমূহ” অধ্যায়-৫ “কাযা নামাজ” দ্রুত আদায় করা মুস্তাহাব, অনুচ্ছেদ-৫৫।
(০২) নাসাঈ হা/৬৬২, ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৯১ পৃঃ নায়ল ২/৯০ পৃঃ।
(০৩) মুত্তাফাক্ব “আলাইহ” মিশকাত হা/৬০৩-০৪ “আগেভাগে ছালাত আদায়” অনুচ্ছেদ-২ঃ মুসলিম, মিশকাত হা/৬৮৪, “দেরীতে আযান” অনুচ্ছেদ-৬, ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৮২, ২০৫।
(০৪) আলোচনা দ্রষ্টব্যঃ আলবানী-মিশকাত হা/৬০৩, টীকা-২।
(০৫) মুসলিম, মিশকাত হা/২৮ “ঈমান” অধ্যায়।
(০৬) আল-ফুরক্বান ২৫/৭১; যুমার ৩৯/৫৩।
(০৭) আবুদাঊদ হা/৮৬৪-৬৬, তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত হা/১৩৩০, “ছালাতুত তাসবীহ” অনুচ্ছেদ-৪০, ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২০৫।