সালাতুত তাওবাহ

অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য বিশেষভাবে যে নফল সালাত আদায় করা হয়, তাকে ‘সালাতুত তাওবাহ’ বলা হয়। আবুবকর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, কোন লোক যদি গোনাহ করে। অতঃপর উঠে দাঁড়ায় ও পবিত্রতা অর্জন করে এবং দু’রাক‘আত সালাত আদায় করে। অতঃপর আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।

সালাতুত তাওবাহ পড়ার নিয়ম ও দোয়াঃ

(১) ত্বাবারাণী কাবীরে ‘হাসান’ সনদে আবুদ্দারদা (রাঃ) হ’তে ‘মরফূ’ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, উক্ত সালাত দুই বা চার রাক‘আত ফরয কিংবা নফল পূর্ণ ওযূ ও সুন্দর রুকূ-সিজদা সহকারে হ’তে হবে। (২) তওবার জন্য নিম্নের দো‘আটি বিশেষভাবে সিজদায় ও শেষ বৈঠকে সালাম ফিরানোর পূর্বে পাঠ করা উচিৎঃ-

أَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِيْ لآ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ-

উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লাহু ওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহে।

অনুবাদঃ ‘আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি সেই আল্লাহর নিকটে যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্ব চরাচরের ধারক এবং তাঁর দিকেই আমি ফিরে যাচ্ছি বা তওবা করছি’।

(৩) ‘সাইয়েদুল ইস্তেগফার’ দো‘আটিও এর সাথে যোগ করা ভাল।

[(১) . আবুদাঊদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, বায়হাক্বী, তিরমিযী, হাদীছ হাসান; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৫৯; মিশকাত হা/১৩২৪ ‘ঐচ্ছিক সালাত’ অনুচ্ছেদ-৩৯; আলে ইমরান ৩/১৩৫। (২) . ত্বাবারাণী কাবীর, আহমাদ হা/২৭৫৮৬; ছহীহাহ হা/৩৩৯৮; ছহীহ আত-তারগীব হা/২৩০। (৩) . তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৩৫৩ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবা করা’ অনুচ্ছেদ-৪।]

Next Post Previous Post